
সারাদেশে করো’নার প্রকোপ বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এমন সময় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকা’টা সৈকতে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগমন ঘটছে হাজারো পর্যট’কের।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সৈকত ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকা’টায় আগত পর্যট’কদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পু’লিশ মাইকিং করছে, সঙ্গে স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে তৎপর হচ্ছে।
আগত পর্যট’করা সমুদ্রে সাঁতার কা’টাসহ প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দে মেতেছেন। বাড়তি পর্যট’কদের আনাগোনায় বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। আবার অনেকেই সকালে এসে বিকেলে চলে যাচ্ছেন। তবে এ সকল পর্যট’কদের কেউ কেউ মাস্ক পরিধান করলেও অনেককেই মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি, ব্যবহার করছেন না মাস্ক।
মাদারীপুর থেকে আগত রুবেল বলেন, এখানে এসে দেখলাম ট্যুরিস্ট পু’লিশ ও স্থানীয়রা বেশ সতর্ক। হোটেলে মাস্ক পরতে হচ্ছে, সৈকতে নামলে পু’লিশ মাস্ক পরতে মাইকিং করছে। এটা ভালোই লাগলো। সবাই সচেতন থাকলে কিছুটা হলেও করো’না থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক পর্যট’ক বলেন, সৈকতে আসছি গোসল করতে, এখানে মাস্ক পরে কী’ করব? তাই মাস্ক আনি নাই। তবে সবার সঙ্গে এক জায়গায় না থেকে আম’রা পরিবারের সবাই একটু আলাদা জায়গায় এসে আনন্দ করছি।
ট্যুর অ’পারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকা’টা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইস’লাম জাগো নিউজকে জানান, পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ মাস্ক ব্যতীত পর্যট’কদের সেবায় অংশগ্রহণ না করে।
তিনি বলেন, করো’না সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকা’টা আগত পর্যট’কদের সুরক্ষা দিতে স্থানীয় ট্যুর অ’পারেটর, ট্যুর গাইড, ব্যবসায়ী, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পর্যট’কদের সুরক্ষায় কাজ করছে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সর্বদা আম’রা সচেতন করছি। যাতে কুয়াকা’টায় এসে কেউ নতুন করে সংক্রমিত না হয়।
ট্যুরিস্ট পু’লিশ কুয়াকা’টা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, করো’নার নতুন ভেরিয়েন্ট অমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সৈকতে ট্যুরিস্ট পু’লিশের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করা হচ্ছে, পুরো সৈকতে টহল পু’লিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে। করো’নার প্রকোপ যাতে না বাড়ে সেজন্য সরকারি যেকোনো সিদ্ধান্ত মানতে এবং মানাতে আম’রা প্রস্তুত।
Leave a Reply